প্রাকৃতিক কৃষি বিপণন কেন্দ্র
গ্রামে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে আমরা বুঝলাম, কৃষকদের রাসায়নিক সার ও বিষমুক্ত ফসলের ন্যায্যমূল্য না দিতে পারলে প্রাকৃতিক কৃষি সম্প্রসারণ করা সম্ভব না। কৃষক-কৃষাণীদের সাথে পরামর্শ করে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকায় প্রাকৃতিক কৃষি বিপণন কেন্দ্র চালু করে বিপণন শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে বাড়ির আঙ্গিনায় কৃষাণীদের উৎপাদিত রাসায়নিক সার ও বিষ মুক্ত ফসল বিপণন শুরু হয়। ২৪ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে ঢাকায় প্রাকৃতিক কৃষি বিপণন কেন্দ্র চালু হয়। এ দিন সকালে প্রায় ২০০ কেজি সবজির প্রথম চালান কেন্দ্রে এসে পৌঁছে । বর্তমানে সেটি তিনগুনের বেশি ফসল প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারে ৩/২৯ সালিমুল্লাহ রোড, মোহাম্মদপুর,বিপণন কেন্দ্রে বিক্রি হচ্ছে। প্রথম দিকে সপ্তাহে ১ দিন খোলা থাকলেও এখন সেটি প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
রাসায়নিক সার ও বিষ মুক্ত ফসল উৎপাদন ও সম্প্রসারণে সবচেয়ে বড় বাধা এর বিপণন । গত কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার কৃষকদের কাছ থেকে এমন সমস্যার কথা আমাদের শুনতে হয়েছে । স্থানীয় বাজারে কম মূল্য, কৃত্রিম ( রাসায়নিক সার ও বিষ দিয়ে উৎপাদিত ফসল ) ফসলের বাজার দখল , এসব ক্রমে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদনকারী কৃষকদের কোনঠাসা করে রেখেছে। তাই প্রাকৃতিক কৃষি খামারে ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি এর বিপণন ব্যবস্থার পরিবর্তনে কাজ শুরু করে ।
২৪ অক্টোবর ২০১৪ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকায় প্রাকৃতিক কৃষি ফসল বিপণন শুরু হয়েছিল। পরীক্ষামূলকভাবে চলে ২০১৫ সালের মাচ মাস পর্যন্ত । এর পরে সেটি স্থায়ীভাবে পরিচালনার জন্য ঢাকার লালমাটিয়ায় এক রুমের একটি কেন্দ্র খোলা হয়। একটি স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত বিপণন ব্যবস্থার অধীনে কৃষকের উৎপাদিত ফসলের লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করার মধ্যদিয়ে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে উৎসাহিতকরণ ও সম্প্রসারিত করা এই বিপণনের উদ্দেশ্য ।
যৌথভাবে উৎপাদিত বিপণন ব্যবস্থা। সমাজের ভিতর থেকে পূন:রায় বিপণন সম্পর্কিত জ্ঞান অনুসন্ধান ও সেটি কাজে লাগানো। সেটিও যৌথ কাজ প্রাকৃতিক কৃষির জন্য প্রাকৃতিক কৃষি বিপণন কেন্দ্র। প্রথমে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আগমুন্দিয়া প্রাকৃতিক কৃষি খামার ও আরও ৩টি গ্রাম থেকে রাসায়নিক সার ও কৃত্রিম বালাইনাশকের ব্যবহার ছাড়া উৎপাদিত সবজি ও ফল বিপণন কেন্দ্রে সরবরাহ শুরু হয়। বতমানে পাহাড়ী জুমসহ ১৫ টি জেলার চাষীদের উৎপাদিত ফসল বিপণন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে ।